পেঁয়াজের দাম কমে বেড়েছে মুরগির

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রামপুরা বাজারে মোটা পাইজাম বিআর-২৮ জাতের ধানের চাল আগের তুলনায় কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়। মিনিকেট জাতের চালের দামও কমেছে। তবে কেজিপ্রতি ১/২ টাকা।

পাশের বাজার মালিবাগে পাইকারি চালের আড়তে প্রতি বস্তা পাইজাম বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৪২০ টাকায়। যা বস্তাপ্রতি আগের তুলনায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কম।

মোটা চালের পাশাপাশি প্রতিবস্তা মিনিকেট ৩ হাজার ৫০ টাকায় নেমেছে। যা আগের তুলনায় বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগে খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতো, যা এখন ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো কমেনি নাজিরশাইল চালের দাম।

বাজারে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলার হালি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে, পেঁয়াজের কলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৮০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি সোনালি মুরগি।

বাজারে এক ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছিল।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা।

গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থির রয়েছে। ৪০০ গ্রাম আকারের ইলিশ মাছের কেজি ৭০০ টাকা, চাষের শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার টাকা, বাইম এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাকিলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাওন রাইস এজেন্সির শাওন হোসেন বলেন, আমনের নতুন চাল বাজারে আসায় চালের দাম কমছে, যা মাসখানেক আগে বেড়েছিল। সরবরাহ ভালো থাকলে আরও কিছুটা দাম কমতে পারে।

রামপুরা বাজারে মামা ভাগ্নে সবজি ভাণ্ডারের রফিক বলেন, ঝিঙা, চিচিঙা, পটলের মত গরমের সবজির দাম শুধু বেশি, সেগুলোর মৌসুম নয়, কিন্তু শীতের সবজি সস্তা বলা চলে।

তালতলা বাজারে মুরগি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আগের সপ্তাহে ১৭০ টাকা করে বিক্রি করেছিলাম। চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, ক্রমাগত মুরগির দাম বাড়ছে। শুধু ব্রয়লার নয় সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগিরও বাজারও চড়া। আমরা সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তালতলা সড়কে বসা ভ্রাম্যমাণ বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা হারুন বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় নতুন আলুর দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। একইসঙ্গে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।